জুলাই যোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান — জামায়াত আমীর

  ছবি : সংগৃহীত 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “জুলাই বিপ্লবে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের আত্মদানেই দেশে ফ্যাসীবাদবিরোধী পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে।”

বুধবার বিকেলে রাজধানীর কাফরুলে থানা জামায়াত আয়োজিত এক নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “এই আন্দোলনে দুই হাজারের বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন, হাজার হাজার আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। কেউ কেউ হারিয়েছেন চোখ, হাত কিংবা পা। আমরা শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছি এবং কিছু এতিমের ভরণ-পোষণের দায়িত্বও নিয়েছি।”

ডা. শফিক আরও বলেন, “ছাত্র-জনতার ইস্পাত কঠিন ঐক্যে আমরা স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছি। এই বিপ্লব বিনা মূল্যে আসেনি—তা এসেছে আত্মত্যাগের বিনিময়ে। তাই ‘জুলাই যোদ্ধা’দের জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া সময়ের দাবি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন একটি ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যা প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শে পরিচালিত হবে—যেখানে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না, রাষ্ট্রই সকল নাগরিকের দায়িত্ব পালন করবে এবং আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।”

তিনি বলেন, “আল্লাহর বিধানই একমাত্র নির্ভুল ও চূড়ান্ত। মানুষের তৈরি আইন দিয়ে প্রকৃত শান্তি ও কল্যাণ সম্ভব নয়। তাই ইসলাম ও কুরআনের আলোকে কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে।”

ডা. শফিকুর রহমান দ্বীন প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এটি কোনো ঐচ্ছিক বিষয় নয়, বরং প্রতিটি মুমিনের ওপর ফরজ। কুরআনকে পাথেয় এবং ইসলামী জীবনব্যবস্থাকেই আমাদের একমাত্র পথ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। মোত্তাকীদের জন্য কুরআন পথপ্রদর্শক, আর সেই পথে চলেই দুনিয়া ও আখেরাতে মুক্তি সম্ভব।”

তিনি দ্বীন কায়েমের লক্ষ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

পথসভায় সভাপতিত্ব করেন কাফরুল থানা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মো. সেলিম উদ্দিন এবং সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মো. শহীদুল্লাহ, শাহ আলম তুহিন, আলাউদ্দিন, তুহিন রেজা প্রমুখ।

Post a Comment

0 Comments