ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোপুরি বন্ধ নয়, কিছু ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত ইরানের

ইরানি সেন্ট্রিফিউজ পরিদর্শনে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তেহরান, ১১ জুন ২০২৩ছবি: রয়টার্স

ইরানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মাজিদ ফারাহানি জানিয়েছেন, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোপুরি বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা করছে না। তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই কার্যক্রমে কিছুটা ছাড় দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারাহানি বলেন, “সম্ভবত আমরা এর মাত্রা কমাতে পারি, কিন্তু এটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করব না।” তেহরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তারা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে থাকে।

এদিকে, ফারাহানি আরও বলেন, যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে ইরানের ওপর হামলা বন্ধের নির্দেশ দেন, তবে দ্রুত কূটনৈতিক আলোচনা পুনরায় শুরু করা সম্ভব। “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চাইলে মাত্র একটি ফোন কলেই ইসরায়েলিদের থামাতে পারেন এবং সহজেই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন,”—উল্লেখ করেন তিনি। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “ইসরায়েলের বোমা হামলা চলতে থাকলে কোনো আলোচনাই সম্ভব নয়।”

সম্প্রতি জেনেভায় ইরান, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যা চলমান সংকটের পর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক প্রয়াস বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এদিকে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় দেশগুলো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিস্টোফ লেমোয়িন সিএনএনকে বলেন, “ফ্রান্স ‘শূন্য সমৃদ্ধকরণ’ নীতিতে অটল রয়েছে এবং এটি নিয়ে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার।”

ফারাহানি বলেন, ইরান সরাসরি বা পরোক্ষভাবে—যেকোনোভাবে আলোচনায় বসতে আগ্রহী, তবে এর জন্য প্রয়োজন সংঘাত বন্ধ হওয়া এবং পারস্পরিক সদিচ্ছা। তিনি আরও যোগ করেন, “যুদ্ধ শুরু হলে আলোচনার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে, তবে যদি যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে জড়াতে না চায়, তাহলে সবকিছু আলোচনার মধ্যেই সম্ভব।”

Post a Comment

0 Comments