![]() |
ছবি- সংগৃহীত। |
পশ্চিম সুদানের এল ফাশের শহরে জানুয়ারি থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত সময়কালে কমপক্ষে ২৩৯ শিশু প্রাণ হারিয়েছে। মূল কারণ—অপুষ্টি, খাদ্যের তীব্র সংকট ও চিকিৎসা সেবা না থাকা। এই মর্মান্তিক তথ্য জানিয়েছে সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক, দেশটির একটি বেসামরিক চিকিৎসক সংগঠন।
সংগঠনের বিবৃতি অনুসারে, উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল ফাশের শহরটি প্যারামিলিটারি গ্রুপ র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (RSF) এর অবরোধে রয়েছে। এ কারণে শিশুদের জন্য সংরক্ষিত পুষ্টি উপকরণ সরবরাহ কেন্দ্রগুলো হামলার শিকার হচ্ছে, যা শিশুদের পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে অবরোধে থাকা দারফুর অঞ্চলের শিশুদের প্রতি আন্তর্জাতিক সমাজের অবহেলা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এখন এল ফাশের শহর ও আশপাশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে কার্যত কোনো খাদ্য, ওষুধ বা চিকিৎসাসেবা নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।”
মানবিক সহায়তা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক চাপের আহ্বান।
সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, জাতিসংঘ মহাসচিব প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে RSF-এর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। একইসঙ্গে তারা অবিলম্বে মানবিক করিডোর চালু করে ত্রাণ ও ওষুধ পৌঁছানোর সুযোগ সৃষ্টির দাবি জানিয়েছে।
এল ফাশের শহরে ১০ মে থেকে সুদানি সেনাবাহিনী ও RSF-এর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। শহরটি দারফুর অঞ্চলের মানবিক তৎপরতার একটি কেন্দ্র হওয়ায় এর সংকট আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এ প্রেক্ষাপটে সুদানের সার্বভৌম পরিষদের চেয়ারম্যান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস-এর অনুরোধে এল ফাশেরে সাত দিনের মানবিক যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করেছেন। যদিও এ যুদ্ধবিরতি কবে থেকে কার্যকর হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি।
এদিকে, RSF এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য দেয়নি।
📌 উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানিজ সেনাবাহিনী ও RSF-এর মধ্যকার সংঘর্ষে দেশটি ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সূত্র: আনাদলু
0 Comments