![]() |
ছবি- সংগৃহীত। |
ইরানে পরীক্ষামূলক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি নয়, বরং সাম্প্রতিক বিদেশি হামলা ও অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার কারণে দেশটির শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এখন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সংকটে পড়েছেন।
গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা গেছে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (IRGC) শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিহত হয়েছেন। এমনকি পারমাণবিক কর্মসূচিতে জড়িত বিজ্ঞানীদের ওপরও হামলা হয়েছে।
কেন খামেনির জন্য এই সংকট এতটা ভয়াবহ?
- খামেনির বয়স এখন ৮৬, কিন্তু এখনো কোনো উত্তরসূরি নির্ধারিত হয়নি।
- দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা শক্তিশালী রাজনৈতিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছে।
- বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি ও দুর্নীতির কারণে জনগণের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এখন কী ঘটতে পারে?
1. পারমাণবিক অস্ত্রের দিকেই ঝুঁকবে ইরান – নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটি হয়ত পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টায় আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে।
2. নেতৃত্ব সংকটের সম্ভাবনা – উত্তরসূরি না থাকায় খামেনির মৃত্যুর পর রাজনৈতিক নেতৃত্বে শূন্যতা দেখা দিতে পারে।
3. আন্তর্জাতিক সংলাপে ফিরে আসা – নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার পথ খুলে যেতে পারে।
4. অভ্যন্তরীণ সংস্কার – অর্থনৈতিক চাপ ও জনগণের অসন্তোষ মোকাবিলায় প্রশাসনিক সংস্কারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বিশ্লেষকদের মতে, খামেনির সরকার যদি সময়মতো কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এই সংকট শুধু ইরানের অভ্যন্তরেই সীমাবদ্ধ থাকবে না—এর প্রভাব পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়েই পড়তে পারে।
0 Comments