৪৪তম বিসিএসের ফল প্রকাশকে কেন্দ্র করে দেশে আরেকটি বড় আন্দোলন শুরু হতে পারে
![]() |
ফাইল ফুটেজ। |
এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক সহ-মুখপাত্র ও সমাজকর্মী মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।
সোমবার (৩০ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে সতর্ক করেন। তার এই পোস্টটি শেয়ার করেছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অনেকে।
মিরাজ মিয়া লিখেছেন, “আমার মনে হচ্ছে, খুব শিগগিরই চাকরি পরীক্ষাগুলোকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে আরেকটি বড় আন্দোলন শুরু হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ১২ হাজার প্রার্থী যে প্রতারণার মুখে পড়তে যাচ্ছেন, তা উদ্বেগজনক। অভিযোগ উঠেছে, পর্যাপ্ত শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও সেগুলো নিয়োগের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে না। এর পেছনে রহস্যজনক কোনো কারণ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে বিগত ৪০তম, ৪১তম ও ৪৩তম বিসিএসে চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগে পদসংখ্যা বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ৪৪তম বিসিএসে সে ধরনের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এতে করে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। অথচ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পদসংখ্যা বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানো হলেও প্রধান উপদেষ্টা তাতে অনুমোদন দেননি—এমনটাই এখন সবার বিশ্বাস।”
মিরাজ মিয়া সতর্ক করে বলেন, “চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে যে ধারণা তৈরি হচ্ছে, তা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। মনে হচ্ছে, আবারও সব কিছু দলীয়করণ করা হচ্ছে। অথচ জেনারেল ক্যাডার ও শিক্ষা ক্যাডারে বহু পদ খালি রয়েছে। সফলভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ না দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। এটি চরম অবিচার।”
তিনি বলেন, “৪৪তম বিসিএস বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা একটি বিসিএস। এ পরীক্ষায় অনেক প্রার্থী দুইবার করে মৌখিক পরীক্ষাও দিয়েছেন। চার বছর ধরে এক পরীক্ষার চক্রে পড়ে থাকা প্রার্থীরা প্রিলি, লিখিত, ভাইভা সব উত্তীর্ণ করার পরও যদি নিয়োগ না পান, তাহলে সেটা কার ব্যর্থতা? ইন্টারিম সরকারের সময়েই যদি স্বচ্ছতার সঙ্গে এসব পদে নিয়োগ দেওয়া হতো, তাহলে এত ক্ষোভ জমে উঠত না।”
সবশেষে মিরাজ বলেন, “যাদের আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তাদের কথা এখন সরকার শুনছে না—এটা খুবই দুঃখজনক। প্রধান উপদেষ্টার উচিত, চাকরিপ্রত্যাশীদের এই ক্ষোভের খবর শোনা এবং পদ না বাড়ানোর অভিযোগের বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া। শিক্ষার্থীরা বলছে, ‘ড. ইউনূস খালি পদ থাকা সত্ত্বেও পদ বাড়াচ্ছেন না’—এই অভিযোগটা উপদেষ্টার জানা থাকা দরকার।”
0 Comments