![]() |
উপত্যকা: গাজা |
ইসরায়েলের লাগাতার আগ্রাসনে গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যা পুরো উপত্যকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪ শতাংশ। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেটজ শুক্রবার এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে।
এ সংখ্যা হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ৫৬ হাজার ৩০০ জন নিহতের হিসাবের চেয়েও অনেক বেশি। হারেটজের মতে, যুদ্ধের সরাসরি হামলা ছাড়াও পরোক্ষ কারণ যেমন—অভাব, ঠান্ডা ও চিকিৎসাসেবা সংকটেও বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের হোলোওয়ে কলেজের অর্থনীতিবিদ ও সংঘাত বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মাইকেল স্পাগাট পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৭৫ হাজার ২০০ জন সহিংস মৃত্যুর শিকার হয়েছেন। এই জরিপে গাজার প্রায় ১০ হাজার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে ২ হাজার পরিবারের ওপর তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
জরিপ অনুসারে, নিহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। যা সাম্প্রতিক অন্যান্য যুদ্ধক্ষেত্র—যেমন কসোভো, সিরিয়া, সুদান ও উত্তর ইথিওপিয়ার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
অধ্যাপক স্পাগাট বলেন, “আমার ধারণা গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪ শতাংশ ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন, যা একবিংশ শতাব্দীর যেকোনো সংঘাতের তুলনায় নজিরবিহীন।”
তিনি আরও বলেন, সিরিয়া, ইউক্রেন বা সুদানের যুদ্ধে প্রাণহানির সংখ্যা বেশি হলেও, বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর হার এবং জনসংখ্যার অনুপাতে গাজা এগিয়ে। এটি বর্তমান শতাব্দীর অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় একের পর এক নিষ্ঠুর সামরিক অভিযান পরিচালনা করে আসছে, যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বহুবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
তথ্যসূত্র: হারেটজ, আনাদোলু এজেন্সি
0 Comments